সারা দেশে গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে সকালের দিকে খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি। আগের বারের মতো বিশৃখংলার খবরও আসেনি। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাইনে কোনো বিশৃঙ্খলা না থাকলেও পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সেন্টারের বাইরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করছেন। যারা প্রবীণ ও শারীরিকভাবে অসুস্থ—এমন লোকজনকে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। এছাড়া ১০ জন করে নারী ও পুরুষকে পর্যায়ক্রমে টিকার জন্য কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকানো হয়। যারা একবার টিকা নিয়েছেন তারই শুধু আজ টিকা পাবেন।
আগে থেকেই বিষয়টি ঘোষণা থাকায় প্রথম ডোজ নেওয়া ছাড়া অন্যদের খুব একটা কেন্দ্রে ভিড় করতে যায়নি। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত তিন দিনের প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রেই প্রথম ডোজের দ্বিগুণসংখ্যক, অর্থাৎ ৭০০ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। গত ৭ ও ৮ আগস্টে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীরা আজ টিকা নিচ্ছেন। ৯ ও ১০ আগস্টে টিকা গ্রহণকারীরা ৮ সেপ্টেম্বর এবং ১১ ও ১২ আগস্টে টিকা গ্রহণকারীরা ৯ সেপ্টেম্বর টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছিল, একই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া যাবে। ডিএনসিসির নির্ধারিত ৫৪টি টিকাকেন্দ্রে গত ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত একযোগে পরিচালিত গণটিকার আওতায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জনকে কোভিড-১৯–এর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।